উন্নত ইন্টারনেট ও টেলিকম সেবা নিশ্চিত করতে টেলকোসমূহের বিদ্যমান প্রতিটি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সরকার অবগত আছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এগুলো পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে নিরসনের উপায় বের করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ওয়েবিনারে মোবাইল অপারেটরসমূহের আন্তর্জাতিক সংগঠন জিএসএমএ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএসএমএ এর হেড অব অ্যাপেক জুলিয়ান গরমেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, আইটিইউ কর্মকর্তা আতসুকো অকোদা, টেলিটকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিঙ্কের সিইও এরিক অস, রবির সিইও মাহতাব আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ কোভিড পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের কর্মীরা যেমন ঝুকি নিয়ে কাজ করেছে তেমনি বেসরকারি টেলিকম প্রতিষ্ঠানসমূহ নেটওয়ার্ক সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে তিনি সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, দেশের কোন মানুষই ডিজিটাল সংযুক্তির বাইরে থাকবে না। ইতোমধ্যে হাওর, চর, পাহাড়, দুর্গম অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এবং ৫জি চালু করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। ৪জি সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আমরা টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদান করেছি। এরফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে অপারেটর সমূহের জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মোবাইল অপারেটর ও বিটিআরসির মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
টেলিকম কোম্পানীসমূহের সিইওগণ কোভিডকালে ও অন্যান্য সময়ে সরকারের সহায়তার প্রশংসা করে টেলিকম খাতে কর হ্রাসের দাবি জানান